এক সময় ভগবান বুদ্ধ অজাতশত্রুর অমাত্যকে উপলক্ষ্য করে আনন্দকে বলেছিলেন – আনন্দ! ইহলোকে যারা সপ্ত অপরিহানীয় ধর্মে সম্যকরূপে প্রতিষ্ঠিত থাকবে তাহাদেরকে কেউ পরাজিত করতে পারবে না। বরং ইহা তাদের ভবিষ্যতের সুখের কারণ হয়ে থাকে। সেই সপ্ত অপরিহানীয় ধর্ম হচ্ছে –
১)
যারা সভা-সমিতিতে সর্বদা একত্রে একত্রিত হয়।
২)
সর্বদা একাতাবদ্ধ ভাবে একত্রিত হয় এবং সভার শেষে সকলে একসঙ্গে চলে যায় এবং সভায় প্রস্তাবিত
কাজ একযোগে সম্পাদন করে।
৩)
যারা দেশে ও সমাজে কুনীতির প্রবর্তন করে না, পূর্বে নির্ধারিত সূনীতির উচ্ছেদ সাধন
করে না বরং প্রাচীন সুনীতি যথাযথভাবে মেনে চলে।
৪)
যারা বুদ্ধগণকে সৎকার, গৌরব, সম্মান ও পূজা করে এবং তাদের বাক্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা
উচিত বলে মনে করে।
৫)
যারা কোন কূল স্ত্রী বা কূল কুমারীদের সতীত্ব নষ্ট করে না; বরং ধর্ম দ্বারে নারীদেরকে
স্বাধীনতা প্রদান করে।
৬)
গ্রাম - মধ্যে ও গ্রামের বাইরে যেসব চৈত্য আছে, যারা সেই চৈত্যর সৎকার, গৌরব, সম্মান ও পূজা করে এবং সেই চৈত্য সমূহের পূর্বে
প্রচলিত ধর্মত দানকর্ম ও পূজার পরিহানি করে না।
৭)
যারা অর্হৎ ও শীলবানদের ধর্মত
রক্ষা করে, পালন কর, তাহাদের সুখ-সুবিধার সুব্যবস্থা করে এবং যেই দেশের অর্হৎগণ আসেন নাই, তারা কি প্রকারে
দেশে আসিবেন, উপস্থিত অর্হৎগণ দেশে নিরাপদে বাস করিতেছেন কিনা সর্বদা অনুসন্ধান
করে; তাহাদের শ্রীবৃদ্ধি হয়ে থাকে, পরিহানি হয় না । তাদের কেউ পরাজিত করতে পারে না।
বর্তমানে
বাঙ্গালী বৌদ্ধ জাতি নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ এ লিপ্ত। সময়ের প্রয়োজনে বৌদ্ধ জাতিকে
সপ্ত অপরিহানীয় ধর্মের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সংকল্প করতে হবে।
Tags - SoptoOporihaiya Dhamma, সপ্ত অপরিহানীয় ধর্ম
No comments:
Post a Comment