কেন আমাদের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হলো?' | Khagrachhari News | Guimara

 https://www.youtube.com/watch?v=SXXJ4KvUc7o



 


গুইমারাই সেনাবাহিনী গুলিতে পাহাড়ি নারী ও পুরুষ গুলিবিদ্ধ হয়েছে.....ফিলিস্তিনির পক্ষে হাজার হাজার অমুসলিম দাড়িয়ে গেছে। আজ পর্যন্ত কোন মুসলিম এভাবে অন্য ধর্মালম্বীদের পাশে দাড়িয়েছে এরকম কোন নজির নেই। "বৃক্ষ তোর নাম কি? ফলে পরিচয়।"

 Taslima Nasrin

খাগড়াছড়ির আদিবাসী মেয়েটিকে ডিঙিয়ে তুমি ছুটে যাচ্ছো
গণধর্ষণের শিকার মেয়েটিকে ডিঙিয়ে তুমি ছুটে যাচ্ছো,
মিলিটারির গুলিতে অসংখ্য আহত আদিবাসীকে ডিঙিয়ে
তুমি ছুটে যাচ্ছো, আগুনে পুড়ছে বাড়িঘর, তুমি ছুটে যাচ্ছো।
আততায়ীর দলে আতঙ্কে নাম লেখাচ্ছে সংখ্যালঘু,
সামান্য ভিটেমাটি আঁকড়ে স্বধর্মে বেঁচে থাকার আকুতি নিয়ে
আততায়ীর কাছেই ভিক্ষে চাইছে প্রাণ,
তুমি দেখেও থামছো না, বরং ছুটছো।
সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসের শিকার হয়ে ঘরে বাইরে আজ
মানুষের খুলি উড়ে গেছে,
মুখ থেতলে গেছে, বুক রক্তাক্ত।
মুক্তচিন্তকদের মুণ্ডু পড়ে আছে রাস্তায়,
রক্তে ভাসছে মস্তিস্কের টুকরো,
সেই রক্তে জুতো ভিজে গেছে তোমার, তুমি ছুটছো,
অসংখ্য লাশকে পায়ে মাড়িয়ে তুমি ছুটে যাচ্ছো।
জিহাদিদের নারকীয় উল্লাসের ভেতর দিয়ে তুমি ছুটছো।
ভয়ে সিঁটিয়ে আছে মানুষ, তোমার স্বজন, তোমার প্রতিবেশি,
যে কোনও সময় যে কেউ পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে যে কাউকে ।
যে কোনও সময় যে কেউ ধর্ষণের আর সন্ত্রাসের শিকার হতে পারে।
তুমি জানো কিন্তু ফিরে তাকাচ্ছো না কারও দিকে, তোমার সময় নেই,
তুমি ছুটছো।
তোমার দেশ তলিয়ে যাচ্ছে গভীর অন্ধকারে,
হাহাকার ছাড়া কোথাও কোনও শব্দ নেই,
অথচ সাড়ে পাঁচ হাজার কিলোমিটার দূরে তুমি যাবে,
তুমি ভিনদেশে যাবে, গাজায়,
যেখানে শিশুরা কাঁদছে, নারী পুরুষ কাঁদছে,
তুমি তাদের চোখের জল মুছিয়ে দিতে যাচ্ছো।
তোমার চোখ থেকে অবিরল ঝরে পড়ছে জল,
তোমার হৃদয় কাঁদছে তাদের জন্য,
কাঁদছে, যদিও তাদের ভাষা তুমি জানো না,
যদিও তাদের সংস্কৃতি তুমি জানো না,
যদিও তাদের ইতিহাস তুমি সবটা জানো না,
যদিও তাদের বেদনা তুমি সম্পূর্ণ অনুভব করতে পারো না,
তারপরও তুমি কাঁদছো, তুমি তাদের কাছে ছুটছো
কারণ তারা তোমার ধর্মের লোক, তারা মুসলমান।


সাতক্ষীরার কলাপোতা গ্রামে পূজা মন্ডপের প্রতিমা ভাংচুর ও শাড়ী ছিঁড়ে ফেলেছে জিহাদিরা



Durga Puja and Torture on Hindu community

 নীলফামারীতে  প্রতিমা ভেঙ্গে চলে যাওয়ার সময় একজন হাতেনাতে ধরা পড়েছে।পুলিশের হাতে ওরে দেওয়ার পর পুলিশ আবার ছেড়ে দিয়েছে।

সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে সাবধানে থাকবেন।


আজ কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর। Today is a Black Day for Bangladeshi Buddhists

Today is a Black Day for Buddhists
Today marks 13 years since the Ramu tragedy in Cox’s Bazar.

On 29 September 2012, a horrific violent attack took place in Ramu, Cox’s Bazar, against the Buddhist community — one of the darkest chapters in Bangladesh’s history.

That night, based on a false rumor surrounding a Facebook post, more than 12 ancient Buddhist monasteries, hundreds of Buddhist homes, manuscripts, and religious artifacts in Ramu and surrounding areas were burned down.

Even after 13 years, no exemplary justice has been delivered for this incident. This culture of impunity is not only an insult to the victims but also a shame for the entire nation.

The questions remain:

  • Who was behind such a large-scale attack?

  • Why has justice not been served even today?

  • Who is protecting the perpetrators?

আজ বৌদ্ধদের কালো দিন

আজ কক্সবাজারের রামু ট্রাজেডির ১৩ বছর।

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রামুতে ঘটে যায় বাংলাদেশের ইতিহাসে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের ওপর এক ভয়াবহ সহিংস হামলা।

২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে মিথ্যা গুজবের ভিত্তিতে সেদিন  রাতে রামু ও আশেপাশের এলাকায় অন্তত ১২টির বেশি প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার, শতাধিক বৌদ্ধ ঘরবাড়ি, পাণ্ডুলিপি এবং ধর্মীয় নিদর্শন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। 

১৩ বছর পার হয়ে গেলেও ঘটনার দায়ে এখনো কারো দৃষ্টান্তমূলক বিচার হয়নি।বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি শুধু ভুক্তভোগীদেরই নয়, পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক।

প্রশ্ন থেকে যায়:

- এত বড় হামলার পেছনে কারা ছিল?  

- কেন আজও বিচার হয়নি?  

- দায়ীদের রক্ষা করছে কে? 



সদ্ধর্ম রত্নচৈত্য - শ্রীমৎ জিনবংশ মহাস্থবির, Saddhama Ratna Chaitya Book PDF by Sreemot Jinabongsha Mohastabeer

 ই-বুকের নাম- সদ্ধর্ম রত্নচৈত্য- Full PDF book






যোগেন্দ্রনাথের পদত্যাগপত্র এবং রাজনৈতিক এবং ধর্মীয়ভাবে অদূরদর্শিতা

বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক অসচেতনতার একটি বড় দৃষ্টান্ত বরিশালের যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল। তিনি হিন্দু হয়েও মুসলিমলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান সরকারের আইন ও শ্রম বিষয়ের মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৫০ সালে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক আক্রমণকৃত অঞ্চল পরিদর্শন করে তিনি বুঝতে পারেন হিন্দু সম্প্রদায়ের হয়েও মুসলিমলীগকে সমর্থন করা তার উচিত হয়নি। অতীতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের কারণে তার মধ্যে ব্যাপক অনুশোচনা আসে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত বন্দর নগরী ও পাকিস্তানের সাবেক রাজধানী করাচীতে বসবাস করতেন। তিনি পশ্চিম পাকিস্তানে যাওয়ার পথে কোলকাতা বিমানবন্দরে অবতারণ করেন। সেখান থেকেই পরবর্তীতে তিনি ১৯৫০ সালের ৮ আগস্ট একটি দীর্ঘ পদত্যাগপত্র পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানের বরাবরে প্রদান করেন। সম্পূর্ণ পদত্যাগপত্রটি জুড়ে প্রকাশ পেয়েছে অন্যের শক্তিতে শক্তিমান হতে চাওয়া ভ্রান্ত এক রাজনীতিবিদের প্রচণ্ড হতাশার কথা। পদত্যাগপত্রটি বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি ঐতিহাসিক দলিল হয়ে আছে।পদত্যাগপত্রে যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল বলেন:
"প্রিয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়,
পূর্ব বাংলার অনগ্রসর হিন্দু জনগণের উন্নতি সাধন আমার জীবন সাধনা। উদ্দেশ্য সাধনের ব্যর্থতায় আমি চরম হতাশাগ্রস্ত। তাই গভীর ভারাক্রান্ত হহৃদয়ে আপনার মন্ত্রী পরিষদ থেকে পদত্যাগ করছি। ভারত-পাক উপমহাদেশের ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে যে সকল কারণ আমাকে পদত্যাগে প্রণোদিত করেছে– তার বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া সঙ্গত বলে আমি মনে করি।

...অনুতাপ-অনুশোচনার সঙ্গে সেই দিনগুলির কথা স্মরণে আসে যখন এই উপমহাদেশের ৩২ কোটি হিন্দু আমার বিরুদ্ধে ছিল এবং আমাকে চিহ্নিত করেছিল হিন্দু ও হিন্দুধর্মের শত্রুরূপে। ...ঢাকায় নয়দিন অবস্থান কালে আমি ঢাকা ও তার সন্নিহিত দাঙ্গা-বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করি।... ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা চট্টাগ্রাম রেলপথে শত-শত হিন্দু-হত্যায় আমি মর্মাহত। বরিশালে পৌঁছে দাঙ্গার যে চিত্র আমি পেয়েছি তা আমাকে স্তম্ভিত করেছে। আমি বুঝতে পারি না যে জেলা সদর থেকে মাত্র ৬ মাইল দূরে কাশীপুর, মাধবপাশা ও লাকুটিয়ায় এরকম ভয়াবহ দাঙ্গা কিভাবে হতে পারে। মাধবপাশা জমিদার বাড়িতেই ২০০ হিন্দুকে হত্যা করা হয়। আহতের সংখ্যা ৪০। মুলাদিতে দেখেছি নরকের বীভৎসতা। মুলাদি বন্দরেই (পাট-গুদামে) হত্যা করা হয় ৩০০ হিন্দুকে।... পুরুষদের নির্বিচারে হত্যা করে হিন্দু যুবতীদের লুণ্ঠিত দ্রব্যের ন্যায় উপঢৌকন দেওয়া হয় হত্যা কাণ্ডের নায়কদের।

...মার্চের শেষদিকে শুরু হয় হিন্দুদের দেশান্তর-যাত্রা, ব্যাপকভাবে। মনে হল যেন অনতিবিলম্বেই সকল হিন্দু পূর্ব পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে যাবে। ভারতে সৃষ্টি হয় তীব্র প্রতিক্রিয়া—ওঠে রণ-হুংকার। পরিস্থিতি খুবই সঙ্কটজনক। একটা জাতীয় বিপর্যয় যেন অবশ্যম্ভাবী। অনিবার্য দুর্যোগ এড়াতে স্বাক্ষরিত হল দিল্লিচুক্তি।

দিল্লিচুক্তির ৬ মাস পরেও পাকিস্তানে ও বিদেশে হিন্দু-বিদ্বেষী ও ভারতে বিরোধী প্রচার অব্যাহত। সমগ্র পাকিস্তানে “কাশ্মীর দিবস" পালন সেই সাক্ষ্যই বহন করে। ভারতে বসবাসকারী মুসলমানের নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন—পাঞ্জাবের (পাক) রাজ্যপালের এই সাম্প্রতিক বিবৃতিতে ভারতের প্রতি পাকিস্তানের প্রকৃত উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট।

পূর্ববাংলার অবস্থা আজ কিরূপ? ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ হিন্দু দেশত্যাগ করেছে। ....স্বদেশে হিন্দুরা আজ “রাষ্ট্রহীন”—প্রবাসী। তাদের একমাত্র অপরাধ—ধর্মে তারা হিন্দু। আমার সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত, পাকিস্তানে হিন্দুদের কোন স্থান নেই। তাঁদের ভবিষ্যৎ গাঢ় তমসায় আচ্ছন্ন—হয় ধর্মান্তর অথবা অস্তিত্ব লোপ।

...পাকিস্তানের সামগ্রিক অবস্থা–হিন্দুদের প্রতি চরম নৃশংসতার কথা বাদ দিলেও আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাও কম বিষাদ-তিক্ত ও ইঙ্গিতবহ নয়। সংসদীয় দলের নেতা ও প্রধান মন্ত্রী রূপে আপনি গত ৮-ই সেপ্টেম্বর আমাকে এক বিবৃতি দিতে বাধ্য করেছিলেন। আপনি জানেন অসত্য এবং তার চেয়েও ঘৃণ্য অর্ধসত্যের উপর ভিত্তি করে কোন বিবৃতি দানে আমি সম্মত ছিলাম না।...এই ভণ্ডামী ও অসত্যের গুরুভার অসহনীয়। বিবেকের দংশনে আমি জর্জরিত । তাই মন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং আপনার হাতে তা অর্পণ করছি। আশা করি, বিলম্ব না করে আপনি তা গ্রহণ করবেন। আপনি অবশ্য এই শুন্যপদ এমন ভাবে পুরণ করবেন যা আপনার ইসলামিক রাষ্ট্রের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সাধনে হবে সহায়ক ও সঙ্গতিপূর্ণ।"
( নিত্যরঞ্জন দাস ২০১০ : ৩৭২-৩৭৪)

তথ্য সহায়তা:
১. নিত্যরঞ্জন দাস, 'মুসলিম শাসন ও ভারতবর্ষ', তুহিনা প্রকাশনী, কলকাতা: এপ্রিল ২০১০

ড. শ্রীকুশল বরণ চক্রবর্ত্তী 
সহকারী অধ্যাপক, 
সংস্কৃত বিভাগ, 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়